Legal News

লম্পটের মিথ্যে এবং আদালতের সত্যি : গত ১১-০৮-২৩ তারিখের রায় প্রসঙ্গে

-------------------------------------------------------------------------

জোচ্চর ক্রিমিনালের দল আবারও আদালতের রায় নিয়ে মিথ্যের আতসবাজি পোড়াতে নেমেছে, দুদিন পরেই ধরা পড়ে যাবে জেনেও। লোকে তো এমনিতে জানেই যে তারা মিথ্যেবাদী, আরেকটা মিথ্যে ধরা পড়লে কীই বা এমন ক্ষতিবৃদ্ধি! তার চেয়ে, একটা মিথ্যে বলে যদি দুদিনের জন্যেও লোক ঠকানো যায়, সেটুকুই লাভ আর কি!

প্রবীর ঘোষের সাঙ্গপাঙ্গদের তরফে যুক্তিবাদী সমিতির নাম করে নানা বিচিত্র কুকীর্তি আর সোসাইটি রেজিস্ট্রারের দপ্তরের নথিপত্রে ব্যাপক কারচুপির প্রেক্ষিতে আমরা মামলা করেছিলাম কলকাতার সিটি সিভিল কোর্টে (টি এস নম্বর ৫৭০ অফ ২০১৮)। সে মামলা ধীরগতিতে হলেও চলছে (ঠিক যেমনটি এ দেশের আদালতে হয়ে থাকে), এবং হয়ত বা চলবে আরও দুই বা তিন বছর। বলা বাহুল্য, এর অর্থটা হচ্ছে, হারজিত এখনও দূর-অস্ত। অর্থাৎ, আমরা মামলা হেরে গেছি এবং তারা জিতে গেছে বলে যে দাবি লম্পটেরা করছে সেটা নির্জলা মিথ্যে, হারজিতের সময়ই আসেনি এখনও। যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, সেটা নেহাতই একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়।

এটা হল, মিথ্যে নম্বর (১)।

কিন্তু তাহলে প্রশ্ন, গত এগারো তারিখের ওই আলোচ্য রায়টি কি তবে নিতান্তই তুচ্ছ? এবং/অথবা, রায়টি কি আসলে আমাদের পক্ষে গেছে? দুটি প্রশ্নেরই উত্তর হল, ‘না’। প্রথমত, রায়টি অন্তর্বর্তীকালীন হলেও তুচ্ছ নয়। এবং দ্বিতীয়ত, রায়টি আংশিকভাবে উভয়েরই পক্ষে, এবং আংশিকভাবে উভয়েরই বিপক্ষে। এক কথায়, রায়টি পরিচ্ছন্ন নয়, ঘোলাটে। কেন এবং কীভাবে, তা বুঝতে গেলে আগে ভাল করে জেনে নেওয়া দরকার, রায়টি আসলে কীসের প্রেক্ষিতে, কী নিয়ে।

রায়টিতে একই সাথে বিচার করতে চাওয়া হয়েছে --- একটি নয় --- তিনটি আবেদনের। প্রথম আবেদনটি আমাদের তরফের --- প্রবীর ঘোষ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে ইনজাংশন জারি করার আবেদন। দ্বিতীয়টি প্রবীর ঘোষের তরফের --- মূল মামলাটিই খারিজ করে দেবার আবেদন। এবং তৃতীয় আবেদনটি সোসাইটি রেজিস্ট্রার-এর তরফে --- এটিও মূল মামলা খারিজ করার আবেদন। এটা সহজবোধ্য যে, মূল মামলাটিই যদি খারিজ হয়ে যায়, তাহলে আর অন্তর্বর্তীকালীন ইনজাংশন জারি করার জন্য আবেদনের কোনও মানেই থাকবে না। তাতে যে প্রবীর ঘোষ এবং সোসাইটি রেজিস্ট্রারের সুবিধে, সেটা আর ব্যাখ্যা করে না বললেও চলে বোধহয়। এখানে মাননীয় বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা বেশ মজার --- তিনি তিনটি আবদনই একসাথে খারিজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, ঘোষবাবু ও রেজিস্ট্রারের তরফে মূল মামলা খারিজ করার আবদারে যেমন জজসায়েব মোটেই কান দেননি, তেমনিই, প্রবীর ঘোষের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে এমনটাও মনে করেন নি। সব মিলিয়ে তবে কী দাঁড়াল? ইনজাংশন জারির আবেদন খারিজ হওয়াটা যদি ‘হেরে যাওয়া’ হয়, তাহলে মূল মামলা খারিজ করতে চেয়েও না পারাটা তো আরও বড় হার। কাজেই, আমরা যদি হেরে গিয়ে থাকি, তো লম্পটের দল হেরেছে আরও জমকালোভাবে!

তাহলে, এটা হল গিয়ে মিথ্যে নম্বর (২)। কিন্তু, এখুনি উঠবেন না, আরও দারুণ দারুণ সব মিথ্যে অপেক্ষা করছে।

পরের মিথ্যেটা অবশ্য ইতিবাচক মিথ্যে না, নেতিবাচক মিথ্যে। মানে, যেটা ঘটনা নয় সেটাকে দাবি করার মিথ্যে না, যেটা আসল ঘটনা সেইটাকে চেপে যাবার মিথ্যে। কী রকম? বলছি এখুনি। নয় পাতার দীর্ঘ রায়ের প্রথম পাতাতেই বিচারক মহাশয় লিপিবদ্ধ করে নিয়েছেন ‘ফ্যাক্ট অফ দ্য কেস’, মানে মামলার প্রেক্ষিতের ঘটনাবলী। তিনি মনে করেছেন, পরবর্তীকালে তাঁর রায়ের সিদ্ধান্তগুলো প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এই তথ্যগুলো কাজে লাগতে পারে। তো প্রথমেই যে ‘তথ্যগুলো’ তিনি তাঁর আদেশের মধ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন, সেগুলো এই রকম।

(১) মাননীয় প্রবীর ঘোষ মহাশয় কোনওদিনই সমিতির টাকাপয়সা খরচের হিসেবনিকেশ দেননি, এবং একটিও বার্ষিক রিটার্ন জমা করেননি।

(২) তাঁর একটি ভুয়ো ডিগ্রি আছে, সেই ডিগ্রির সাহায্যে তিনি মহিলাদের চিকিৎসা করতেন, এবং এক মহিলা তাঁর নামে যৌন নির্যাতনের মামলা করেছিলেন।

(৩) বিশেষজ্ঞদের (‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ এবং অন্যান্য) মতানুযায়ী, তাঁর লেখা বইপত্রে যে সম্মোহন-চিকিৎসার কথা আছে সেটা এক অবৈজ্ঞানিক জোচ্চুরি।

একজন বিচারক যদি তাঁর রায়ের গোড়াতেই এইসব অকথা-কুকথা বলে বসেন, বেচারা লম্পটদের সেটা ভাল লাগে কি আর, বলুন! তারা ওইজন্যে খুব রাগ করেছে, এইটা নিয়ে একদম মুখই খুলছে না!

তো তাহলে, এটা হল গিয়ে মিথ্যে নম্বর (৩)।

কিন্তু, এর পরেও নিশ্চয়ই পাঠকের তরফে কিছু প্রশ্ন থাকবে। যেমন, পাঠক শুধোতে পারেন, মানলাম, ওরা অনেক মিথ্যে বলছে। কিন্তু, ওদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চেয়ে যে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন, সাময়িকভাবে হলেও, এটুকু তো অন্তত ওরা সত্যি বলেছে! এর উত্তর হচ্ছে, এটা সত্যি হতে পারত, যদি ওরা শুধু ওটুকুই বলত। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, লম্পট ক্রিমিনালের দল শুধু ওইটুকু মাত্র বলছেনা। তারা বলছে, এর মধ্য দিয়ে নাকি প্রমাণ হয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধ্বে ষড়যন্ত্র ও কুৎসা করা হয়েছে।

না, এমন কিছুই আসলে এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়নি, তাই এটা হল গিয়ে মিথ্যে নম্বর (৪)।

কেন? কারণটা খুব সোজা --- বিচারক আদৌ তাঁর রায়ের মধ্যে তেমন কোনও কথা বলেন নি। তিনি মোটেই ঘোষবাবু অ্যান্ড কোম্পানির বক্তব্যকে ঠিকঠাক বলে ঘোষণা করেননি। বরং, তাদের প্রতিটি বক্তব্যেরই বিরুদ্ধে আমাদের যে বক্তব্য সেগুলোকে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। এবং সেই সঙ্গে, আমরা যে সব নথিপত্র জমা করেছি, যেমন মিনিটস, প্রবীর ঘোষের স্বীকারোক্তি, বার্ষিক রিটার্নের রসিদ --- তার প্রতিটিরই কথা তিনি নির্ভুলভাবে উল্লেখ করেছেন তাঁর রায়ের মধ্যে। এখন কথা হচ্ছে, তাইই যদি হবে, তাহলে তিনি ওদের বিরুদ্ধে ইনজাংশন জারি করার আবেদন আদৌ খারিজ করলেন কেন? তার সপক্ষে তিনি একটা বেশ জটিল যুক্তি দিয়েছেন। যুক্তিটা অনেকটা এই রকম যে, কারুর পক্ষে ইনজাংশন জারি করতে গেলে তার পক্ষে এই মুহূর্তে আপাতভাবে গ্রাহ্য কিছু প্রমাণ থাকতে হবে, এখানে আমাদের কাছ থেকে যা নাকি তিনি পাননি। বিরোধীপক্ষের যে দুর্বলতা আমরা তথ্য-প্রমাণ সহযোগে দেখিয়েছি, শুধু সেটুকুতে হবেনা, আমাদের নিজেদের সপক্ষে কিছু ইতিবাচক প্রমাণ তাঁর চাই। কিন্তু, আমরা যে সব নথিপত্র পেশ করেছি সেগুলো তিনি সবিস্তারে উল্লেখ করলেও, তাকে প্রাথমিক প্রমাণ বলে তিনি মনে করলেন না কেন? এর যে উত্তর তিনি নিজেই তাঁর রায়ের মধ্যে দিয়েছেন সেটা এই যে, এইসব নথিপত্রের ভিত্তিতে যে দাবি আমরা করছি সেটাই তো তিনি শেষপর্যন্ত বিচার করবেন, অতএব বিচারাধীন বস্তুকে প্রাথমিক প্রমাণ বলে তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না। এ যুক্তিটি আমাদের কাছে কিঞ্চিৎ বিস্ময়কর, কারণ, এই যুক্তি অনুযায়ী চললে তো তিনি কোনও মামলাতেই কোনওদিন কাউকে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারবেন না --- সেটা কি ঠিক? এবং, সেটা কি আদৌ সম্ভব?

কিন্তু এ প্রশ্ন থাকলেও, তিনি এখানে এই রায়ের মাধ্যমে লম্পটের দলকে সাচ্চা বলে ঘোষণা করেছেন এ দাবি যে মিথ্যে, সে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাহলে বিচারকের এ বক্তব্যের প্রকৃত অর্থ কী? অর্থ শুধু এটুকুই যে, মামলার এই পর্যায়ে বিচারক আসল প্রশ্নগুলোকে বিবেচনাই করেন নি, হয়ত এবারে মূল মামলায় ঢুকে তা করবেন!

এ রায়ের মধ্যে আরও একটি বিস্ময়কর ব্যাপার আছে। এ মামলায় প্রবীর ঘোষ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অবশ্যই একটি পক্ষ, কিন্তু আসল পক্ষ নয়, নিমিত্ত মাত্র। এখানে আমাদের আসল প্রতিপক্ষ হচ্ছে সোসাইটি রেজিস্ট্রারের অফিস, যাবতীয় কারচুপির আসল দায় তাদেরই, প্রবীর ঘোষ এক সুবিধাভোগী তৃতীয় পক্ষ মাত্র। মামলায় যে তেরো জন বিবাদীর নাম আছে, সে তালিকায় সোসাইটি রেজিস্ট্রার প্রথম পক্ষ, প্রবীর ঘোষ দ্বিতীয়, এবং তার পর অন্যেরা। তার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে ধরে মাত্র চারটি পক্ষ এখন পর্যন্ত হাজির হয়েছে, বাকি সব ভোঁভাঁ। আমরা প্রচুর নথিপত্র সহযোগে রেজিস্ট্রারের তরফে গাফিলতি ও দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছি, কিন্তু এ রায়ের মধ্যে বহু তথ্যের উল্লেখ থাকলেও এই প্রসঙ্গটি পুরোপুরি বাদ পড়েছে।

অথচ, আশ্চর্যের ব্যাপারটা হচ্ছে, প্রবীর ঘোষ স্বয়ং এ মামলায় একটি চিঠি হাজির করেছেন। চিঠিটি তিনি নিজেই লিখেছিলেন রেজিস্ট্রারকে, দুহাজার চার সালের মে মাস নাগাদ। চিঠিতে তিনি অনুরোধ করছেন, রেজিস্ট্রারের অফিস যেহেতু যুক্তিবাদী সমিতি সংক্রান্ত কাগজপত্তর সবই হারিয়ে ফেলেছে, অতএব আপাতত তাঁর সরবরাহ করা কাগজপত্রকেই সমিতির আসল নথিপত্র বলে গণ্য করে তাই দিয়ে কাজ চালানো হোক। প্রতিপক্ষ এ পত্রকে জাল বলে দাবি করতে পারেনি, কারণ, চিঠিটি আদালতের কাছে আমরা হাজির করিনি, করেছে তারা নিজেরাই। এর অর্থ হচ্ছে, প্রবীর ঘোষকে বিতাড়িত করার পরে আমরা বহু শ্রম ও নিষ্ঠা সহযোগে যে প্রায় দেড় দশক ধরে (১৯৮৯-২০০৩) সমিতির বার্ষিক রিটার্ন ও অন্যান্য যথাযথ নথিপত্র দপ্তরে জমা করেছিলাম, দপ্তরের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীরা সে সবই সমিতির ফাইল থেকে ফেলে দিয়ে প্রবীর ঘোষের দেওয়া ভুয়ো কাগজপত্তর সেখানে ঢুকিয়ে দিয়েছে, এবং এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০০৪ সালের মাঝামাঝি। এই বিষয়টি আমাদের আইনজীবীরা যথেষ্ট দাপট ও উচ্চকণ্ঠ সহকারেই আদালতে পেশ করেছিলেন, এবং তা সত্ত্বেও বিচারক তা বিবেচনাযোগ্য বলে মনে করেননি। না করতেই পারেন। কিন্তু কেন তা বিবেচনাযোগ্য মনে করলেন না তার একটা ব্যাখ্যা তাঁর আদেশে থাকাটা প্রত্যাশিত ছিল, যদিও দুঃখের বিষয়, সে ব্যাখ্যা নেই। বিচারক কি সরকারি দপ্তরকে জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যে জড়াতে চাইলেন না? অথবা, এটিও শেষতক মূল মামলায় বিচার্য বিষয় বলে সাব্যস্ত করে, ইনজাংশন জারি করা হবে কি হবেনা সেই আশু প্রশ্নে একে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করলেন না? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আশা করি, যথা সময়ে সে উত্তর আসবে।

অনুমান করি, এর পরে পাঠক জানতে চাইবেন, এই রায়ের বাস্তব ফলাফল কী হবে, অদূর ভবিষ্যতে। সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু কথা বলা যাক, খুব সংক্ষেপে হলেও।

প্রথমত, যুক্তিবাদী সমিতির ব্যানার ও সক্রিয়তা পুরোপুরি অক্ষুণ্ণ থাকবে। বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত যেভাবে বছর-প্রতি প্রায় দুশো কুসংস্কারবিরোধী ও বিজ্ঞানসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, তদন্ত, চিকিৎসা-শিবির, বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালিখি, বই পত্র পত্রিকা পুস্তিকা ইত্যাদি প্রকাশ এতকাল হয়েছে  --- সে সব চলবে তো বটেই, বস্তুত বৃদ্ধি পাবে।

দ্বিতীয়ত, লম্পটের দল ঠিক একই রকম অপরাধমনস্ক, জোচ্চর, অকর্মণ্য, নিষ্ক্রিয় থাকবে, যদিও ফেসবুকীয় বাঁদরামি হয়ত বা কিছু বাড়বে।

তৃতীয়ত, ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ আদৌ থামবে না, বরং নতুন পদক্ষেপ হবে।

পাঠক নিশ্চয়ই এখনও জানতে চাইবেন, এই রায়ের ফলে বিপক্ষের কিছু সুবিধে হবে কিনা। উত্তরে বলব, হ্যাঁ, আপাতত তাদের যৎসামান্য সুবিধে হবে --- হয়ত বা আরও বছরখানেক তারা আইনের হাত এড়াতে সক্ষম হবে, তবে তার বেশি না। জালিয়াতি আইনের চোখে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে, আজ অথবা কাল।

এর পরে সব কথাই শেষ হওয়া উচিত, কিন্তু জানি, পাঠকের কানে এর পরেও প্রশ্ন গুনগুন করবে। তিনি হয়ত এখনও জানতে চাইবেন, আচ্ছা, ওরা যে বলে, আপনারা নাকি তেরোটা মামলায় হেরে গিয়েছেন ইতিপূর্বে? উত্তরে একটু মুচকি হেসে বলব, আজ্ঞে, দুটো কথাই নির্জলা মিথ্যে --- তেরোটি মামলারও অস্তিত্ব নেই, আর যে গোটা চারেক মামলা সত্যিই ছিল, তার কোনওটিতেই আসলে প্রবীর ঘোষ সেই অর্থে জেতেন নি। দুটিতে পরিচ্ছন্নভাবে হেরেছেন, আর বাকি দুটিতে হয়ত নানা চাতুরি করে শাস্তিটুকু এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। বিভিন্ন মামলা নিয়ে ছোট ছোট করে আলাদা আলাদা পোস্ট আগেই দেওয়া হয়েছে, তবে সবটা এক জায়গায় করে প্রতিটা মামলা ধরে ধরে একটি বিস্তারিত পূর্ণাঙ্গ পোস্ট হয়ত বা এই মুহূর্তে জরুরি হয়ে পড়েছে। আসবে সে পোস্ট, তবে একটু সময় লাগবে।

আলোচ্য রায়টির (১১-০৮-২৩) প্রতিটি পাতার ছবি, প্রাসঙ্গিক অংশগুলোতে রক্তনিম্নরেখাসহ, এবং সোসাইটি রেজিস্ট্রারকে প্রবীর ঘোষের লেখা চিঠিটি --- সবই নিচে দেওয়া হল, আগ্রহী পাঠকের জন্য।

সাথীদের কাছে অনুরোধ, পোস্ট-টি শেয়ার ও সমর্থন করবেন।